বিলুপ্তির পথে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা
স্পোর্টস ডেস্ক
আপলোড সময় :
১৫-০৯-২০২৪ ০৭:১৪:৩০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১২-১০-২০২৪ ০৮:৪০:০৬ অপরাহ্ন
সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা আর আধুনিক সংস্কৃতির খেলার ভীড়ে বিলুপ্তির পথে আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা।
এক সময় বৃহত্তর ময়মনসিংহের প্রতিটি অঞ্চলে এই লাঠিখেলার লাঠিয়ালদের কদর ছিল অনেক। আধুনিক সমাজে এখন আর চোখে পড়ে না লাঠিখেলা। তবে, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বয়োবৃদ্ধ নূরুল ইসলামের একটি দল এখনও টিকে আছে। ১২ জনের দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রায় ৫২ বছর ধরে। তাদের দাবি, সম্ভবত এই প্রজন্মের শেষ লাঠিয়াল তারা। তাই, ঐতিহ্যবাহী খেলাটিকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রয়োজন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।
উস্তাদ নূরুল ইসলাম ও তাঁর দলের লাঠিয়াল আবু তাহের এবং আঙ্গুর মিয়া জানান, এখন এই খেলার আর কদর নেই। বর্তমান প্রজন্ম এই বিনোদনমূলক ঐতিহ্যবাহি খেলার সঙ্গে পরিচিত না। তাই তাদের খেলার জন্য ডাকা হয় না। ফলে কর্মহীন হয়ে অনেকটা নীরবে বিলুপ্তির দিকে নিজেদের টেনে নিচ্ছেন। আর্থিক সুবিধা না থাকায় তাদের পরিবারের আর কোনো সদস্যও এই খেলায় নিজেকে জড়াতে চায় না। তাই তাদের অবর্তমানে এই অঞ্চল থেকে বাংলার ঐতিহ্যবাহি খেলাটির একেবারেই ইতি ঘটবে।
এই লাঠিয়ালরা দাবি করেন, সরকারি সহযোগিতা পেলে তাদের জীবনমান উন্নত হবে। এ ছাড়া অন্যরাও এ খেলায় উৎসাহিত হবেন।
স্থানীয় জিল্লুর রহমান ও মনির হোসেন জানান, সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে গ্রামাঞ্চলের এই ঐতিহ্যবাহি খেলাটি টিকে যাবে। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতার অভাবেই আজ ধীরে ধীরে খেলোয়াড়রা খেলাটি ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন। এই ক্ষেত্রে তারা লাঠিয়ালদের সরকারি সহায়তা দেওয়ার দাবি জানান।
স্থানীয় শিক্ষাবিদ, পর্যটক ও লেখক অধ্যক্ষ শরীফ উদ্দিন আহমেদ লাঠিখেলার ঐতিহ্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে জানান, হাডুডু, দাড়িয়াবান্ধা, মোরগের লড়াইয়ের মতো ঐতিহ্যবাহি ও জনপ্রিয় খেলাগুলো গ্রামীণ জনপদ থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে গেছে। সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে বিলুপ্তপ্রায় এই লাঠিখেলাও একদিন হারিয়ে যাবে।
খেলোয়াড়দের পৃষ্ঠপোষকতাসহ ভাতা প্রাপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা ফাতেমাতুজ-জোহরা জানান, বিলুপ্ত প্রায় এই গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহি খেলাটি টিকিয়ে রাখতে স্থানীয়ভাবে প্রয়োজনীয় সব কিছুই করার চেষ্টা করবেন। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV
কমেন্ট বক্স